আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনার্স, মাস্টার্স বা পিএইচডিতে আবেদন করতে গিয়ে বেশকিছু নিয়ম-কানুনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি এডমিশন পার্ট থাকে যেগুলো এডমিশন এবং ফান্ডিং পেতে অনেক বড় ভূমিকা রাখে। এ কারণে এডমিশনের সকল পার্ট সমান গুরুত্ব দিয়ে পূরণ করা অতি আবশ্যক।
US News এর রিপোর্ট অনুযায়ী ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টরা আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদনের সময় ৫টি খুব কমন ভুল করে থাকে যার কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এডমিশন এবং ফান্ডিং মিস হয়ে যায়। আজকে সেই ৫টি ভুল নিয়েই বিস্তারিত কথা বলব। যারা আমেরিকাতে আবেদন করতে চাইছেন এই বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখবেন।
১। শুধুমাত্র হাই-র্যাংকড বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা:
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে অনেকেই শুধু হাই-র্যাংকড বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেই সিলেক্ট করে থাকে। হাই-র্যাংকড বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত প্রতিযোগিতা বেশি থাকে। বেশিরভাগ সময়ই খুব ভালোমানের প্রোফাইল না হলে এই ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশন এবং ফান্ডিং দুটোই পাওয়া কষ্টকর।
এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয় সিলেকশনে সবগুলোই হাই-র্যাংকড না রেখে নিজের প্রোফাইলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মিডিল টু লো-মিডিল র্যাংকিংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়েও আবেদন করা উচিত। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় সিলেকশনের ক্ষেত্রে র্যাংকিংয়ের পাশাপাশি শিক্ষার মান, এডমিশন পাবার সম্ভাবনা, ক্যাম্পাস কালচার এবং পরিবেশ ইত্যাদি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন।
২। Standardized Test গুলো দেরিতে দেয়া:
এই ভুলটা বেশিরভাগ স্টুডেন্টই করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনর ক্ষেত্রে IELTS/TOEFL, GRE/GMAT, SAT/ACT ইত্যাদি টেস্ট স্কোর চেয়ে থাকে। এই টেস্টগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের আগে দেরি না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দিয়ে দেয়া উচিত। এতে করে টেস্ট স্কোরগুলোর ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় সিলেকশনেও অনেকটা সময় পাওয়া যায়। মাস্টার্সে আবেদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় অনার্সের ২য় বা ৩য় বর্ষ থেকে প্রস্তুতি নেয়া এবং ৪র্থ বর্ষের শেষের দিকে টেস্টগুলো দিয়ে দেয়া।
৩। নিজের প্রোফাইল অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট না করা:
আমেরিকার বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই এডমিশন পাওয়া বেশ কম্পিটিটিভ হয়ে থাকে। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয় সিলেকশনের জন্য আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। অনেক স্টুডেন্টই এই ভুলটা করে যার কারণে এডমিশন পেতে ব্যর্থ হয়। তবে যদি উচ্চশিক্ষায় আসার ইচ্ছা থেকে থাকে তবে আগে থেকেই পরিকল্পনা প্রয়োজন এবং সেই অনুযায়ী একাডেমিক প্রোফাইল সাজানো খুব বেশি প্রয়োজন বলে মনে করি।
৪। ফান্ডিং এবং স্কলারশিপ নিয়ে ভালোভাবে রিসার্চ না করা:
প্রতিটি আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ই অনার্সে কিছু ফান্ডিং এবং মাস্টার্স বা পিএইচডির ক্ষেত্রে GA/TA/RA/Fellowships ইত্যাদি অফার করে থাকে। এই ফান্ডিং বা স্কলারশিপগুলোর কোনোটা ফুল-ফান্ড, হাফ-ফান্ড অথবা পার্সিয়াল-ফান্ড হয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের পূর্বে এই সকল ফান্ড নিয়ে রিসার্চ করে নিতে হবে। প্রয়োজন হলে অফিসিয়াল ইমেইলের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিতে হবে। এতে করে ফান্ড পেতে কি কি বিষয়ে জোর দেয়া প্রয়োজন তা নিয়ে ধারণা পাওয়া যাবে। অনেক স্টুডেন্ট ফান্ডিং নিয়ে বিস্তারিত না জেনেই আবেদন করে বসে যার ফলস্বরূপ ফান্ডিং পায় না।
৫। Additional Documents সাবমিট না করা:
আবেদন করার সময় বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রোগ্রাম অনুযায়ী কিছু Additional Document সাবমিশনের প্রয়োজন পরে। যেমন: Essay, Art work etc. অনেকে এটাকে গুরুত্ব দেন না। প্রাইমারি ডকুমেন্টগুলো সাবমিট করেই আবেদন শেষ করেন। কিন্তু অন্যান্য ডকুমেন্টগুলোর মতো এডমিশন পেতে এগুলোও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই সকল ডকুমেন্ট সমান গুরুত্ব দিয়ে সাবমিট করাটা খুবই প্রয়োজন।
Source: USnewsdotcom
আমেরিকার উচ্চশিক্ষা নিয়ে আরও জানতে পারবেন নিচের ব্লগপোস্ট গুলো থেকে-
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফুল-ফান্ডসহ পড়তে যাওয়া নিয়ে এই লাইভ সেশনগুলো দেখে নিতে পারেন-
Australia- https://youtu.be/IjMcIUtTLok
Canada- https://youtu.be/GGyzdR5Kv3M
USA- https://youtu.be/vZPcwEWrfNA
Malaysia- https://youtu.be/R2P2it_Hwvg
Germany- https://youtu.be/3rc3RFVZrOE
India- https://youtu.be/Fl6gz4DOJ5A
Turkey- https://youtu.be/e3suBr6MKvA
South Korea- https://youtu.be/QcAdkYeIK8U
Finland- https://youtu.be/_v3dVDKwB18
Japan- https://youtu.be/VIP2mXd5Jlg
China- https://youtu.be/umr3YdxbSHc