UK-র সরকারি স্কলারশিপগুলোর মধ্যে শেভেনিং স্কলারশিপ অন্যতম। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি বছর শিক্ষার্থীরা এই ফুল-ফান্ডেড স্কলারশিপ নিয়ে UK-তে পড়তে যাচ্ছে। আজ এই স্কলারশিপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে।
শেভেনিং স্কলারশিপ কী?
১৯৮৩ সাল থেকে ব্রিটিশ সরকার ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের জন্য শেভেনিং স্কলারশিপ চালু করে যা শুধুমাত্র মাস্টার্স প্রোগ্রামগুলোর জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে স্কলারশিপটি শুধুমাত্র এক বছরের আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মোট ১৪০ টি উন্নয়নশীল দেশের প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থীকে UK সরকার বিভিন্ন মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য এই স্কলারশিপটি প্রদান করছে। ২০২২ সালের জরিপ অনুযায়ী বর্তমানে মোট ৩৩০ জন বাংলাদেশী শেভেনিং স্কলার রয়েছে। শেভেনিং স্কলারশিপ নিয়ে একজন শিক্ষার্থী UK-র যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফুল-ফান্ডেড মাস্টার্স ডিগ্রি কমপ্লিট করতে পারবে।
শেভেনিং স্কলারশিপের সুবিধাসমূহ-
- বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো টিউশন ফি।
- ভালো এমাউন্টের মাসিক স্টাইপেন্ড।
- ট্রাভেল কস্ট (প্লেনের টিকিট)।
- একটি ভিসা এপ্লিকেশনের খরচ।
- বিভিন্ন শেভেনিং ইভেন্টে যোগদানের খরচ।
- বিভিন্ন ধরনের এককালীন ভাতা।
আবেদনের যোগ্যতা এবং নিয়মাবলি-
- যে সকল দেশের জন্য শেভেনিং স্কলারশিপ প্রযোজ্য সে সকল দেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
- স্কলারশিপের মেয়াদ শেষ হবার দুই বছরের মধ্যে নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে।
- ব্যাচেলরে UK-র বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমতুল্য গ্রেড পয়েন্ট থাকতে হবে।
- দুই বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
- তিনটি ভিন্ন ভিন্ন কোর্সে আবেদন করতে হবে এবং এই কোর্সগুলোর যেকোনো একটির অফার লেটার থাকতে হবে।
ডেডলাইন এবং স্কলারশিপ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে পাওয়া যাবে-
https://www.chevening.org/scholarship/bangladesh/