ভ্যালিড পাসপোর্ট আছে তো আমাদের? অনেকে মনে করে আমি পাসপোর্ট বানায় কি করবো, স্টুডেন্ট মানুষ তো বাইরে যাওয়ার সুযোগ কই! অথচ আমি দেখেছি হটাৎ একটা সুযোগ চলে আসলো বাইরে যাওয়ার, কিন্তু পাসপোর্ট না থাকায় বা থাকলেও মেয়াদ না থাকায় একটা সুযোগ মিস করে ফেলেছে। এছাড়া ও অনেকে পাসপোর্ট না থাকায় আর এ IELTS/TOEFL/GRE পরীক্ষা দিতে ও পাসপোর্ট লাগে, সেটা না জানায় পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ও পাসপোর্ট জটিলতায় পরীক্ষা পেছাতে হয়।
তারপর অনেক সময় দেখা যায় হয়তো ইন্ডিয়া/নেপাল/ভুটানের মত কাছে দেশ গুলোতে কোন কনফারেন্/ট্রিপ এ যাওয়ার সুযোগ পেলেন কোন ফ্যাকাল্টি বা সিনিয়রের মাধ্যমে, আর এগেইন পাসপোর্ট না থাকলে হয়তো লিস্ট থেকে বাদ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যাদের মেয়াদ সহ পাসপোর্ট থাকে, তারা সুযোগ নিতে পারে।
এছাড়া রোগ-শোক তো আছেই! নিজের বা খুব কাছের কারও আর্জেন্ট চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিতে যেতে হতে পারে, তখন পাসপোর্ট না থাকলে আবার আর্জেন্ট বানানো লাগে, সেখানে দেরী হয়ে জটিলতা বাড়তে পারে।
সব মিলিয়ে যদি উচ্চ-শিক্ষায় আসার প্ল্যান থাকে বা না ও থাকে, একটা পাসপোর্ট করে রাখেন। এখন তো ই-পাসপোর্ট ১০ বছর মেয়াদী দিচ্ছে, একবার করলে দশ বছরে চিন্তা নেই আর। কোন সুযোগ শুধু একটা ডকুমেন্ট এর জন্য হাতছাড়া হয়ে যাওয়া ঠিক হবেনা বলে মনে হয়! যাদের নেই আর করার সুযোগ আছে, ঝটপট করে ফেলেন। না লাগুক না প্রথম ২/৩ বছর, তো কি হয়েছে! আমার প্রথম পাসপোর্ট করেছিলাম ইন্টারে আর সেটায় কোন ভিসা স্ট্যাম্পই লাগেনি! ব্যপার না, পরের গুলাই ভালোই স্ট্যাম্প আছে! তাই, পাসপোর্টকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে কিছু টাকা খরচ করে বানিয়ে রাখুন! আখেরে কাজ দিবে।