যাদের ১ম/২য় টা ছিল, তাদের ৫% ও ক্ষান্ত হবেনা। কারণ, মাত্র তো শুরু, কত বয়স পরে আছে! যাদের ৩য় বিসিএস ছিল, তাদের হয়তো অনেকেই বয়স, বিয়ে শাদি, পরিবারের কথা চিন্তা করে ১৫% অন্য কিছু ভাবার চেষ্টা করবে। বাকীরা আর জোরে লেগে যাবে পরের গুলার জন্য। আর ৪র্থ/৫ম বার যারা দিলো, তাদের হয়তো ৫০% এর মত সিরিয়াসলি ভাববে অন্য কিছু নিয়ে কারণ ইতিমধ্যে অনেক সময় শেষ হয়ে গিয়েছে আর বুঝেছে এ কম্ম ওনাদের জন্য না। এদের অনেকে প্রাইভেট জবে ঢুকে যাবে আবার কিছু দেশের বাইরে আসার জন্য GRE, IELTS নিয়ে বসবে। বাকীরা বয়স ৩০ না হওয়া পর্যন্ত লেগেই থাকবে শেষ দেখার জন্য।
তারপর একসময় বয়সের বাঁধার কারণে অনেকের শেষ হবে এ অসীম চেষ্টা! বীরদর্পে জীবন আর যৌবনের সুন্দর সময় গুলো একটা চাকুরীর পেছনে দৌড়ে তিনারা খুব ক্লান্ত হয়ে কোন মতে একটা কিছু করার চেষ্টায় নেমে পড়বে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে নতুন করে সিভি বানাবে, বিডিজবসে একটা একাউন্ট খুলবে, সিনিয়র জুনিয়রদের সাথে কন্টাক্ট করবে কোন সুযোগ আছে কিনা দেখার জন্য, এর মধ্যে দেশ, মুদ্রা আর প্রণালীর নাম মুখস্ত করতে করতে ব্যাসিক মাইক্রোসফট অফিস ভুলে যাওয়ায় কিছু কিছু আবার ইউটিউবে টিঊটোরিয়াল দেখবে!
তখন, প্রাইভেট চাকুরী আর খারাপ না, মামা-চাচা ছাড়াই নিজ চেষ্টায় ঢুকা যাবে, কম স্যালারি দিয়ে কেন কিছু না দিলেও পরিশ্রম করতে কষ্ট লাগবেনা, ফেসবুকে একটা পেইজ খুলে যে কোন প্রোডাক্ট সেল করা খুব সহজ মনে হবে, জব সিকিউরিটির চেয়ে জীবনে কিছু করে টিকে থাকাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে আর সমাজে সম্মানী চাকুরীর চেয়ে নিজের বৃদ্ধ বাবা মার মুখে খাবার তুলে দেয়া বা বোনের বিয়ে দেয়াটাই মুখ্য হয়ে উঠবে! তখন কেন জীবন এত সিম্পল ভাই? ৫/৭ বছর আগে এগুলা ভাবাই যেতনা কেন? অন্তত ২/৩ টায় ফেইল করার পর ও কেন কন্সিডার করা যায়না অন্য কিছু? শুভ বুদ্ধির উদয় হউক।