দেশে কারো সাথে কথা হলে হয়ে একটা আলোচনার টপিক থাকে যে চাকুরীর বাজারের সার্বিক অবস্থা নিয়ে। রিসেন্টলি এক ছোট ভাইয়ের সাথে কথা হচ্ছিল আর সে একটা গ্র্যাজুয়েটের গল্প শুনালো যে কিনা কয়েক লক্ষ টাকা ঘুস দিয়ে সরকারী চাকুরীতে জয়েন করেছে। তো, আমি ভাবলাম হয়তো উচ্চপদস্থ কোন চাকুরী হবে হয়তো। জিজ্ঞেস করলাম কি পজিশন রে? বলে, একটা অফিসের পিয়ন। অবাক হবো কিনা বুঝতে পারছিলাম না আসলে৷
ছেলেটা অনার্স পাশ করেছে একটা ভালো সাব্জেক্ট থেকে। বর্তমানে একটা জব ও করছে কিন্তু স্থায়ী সরকারি চাকুরীই লাগবে, নাহলে জীবন শেষ! তাই, ঘুষ দিয়ে, হাতে পায়ে ধরে একটা চতুর্থ শ্রেণীর সরকারী চাকুরী ব্যবস্থা করতে হলো! এটাই নাকি সামাজিকভাবে সম্মানের আর স্ট্যাবিলিটি আছে। মানে, সারাজীবন চাকুরী যাবেনা আর যে টাকা ঘুষ দিয়ে ঢুকলো, সেটা উসুল করার ও সুযোগ থাকবে৷ কিছু বলার আছে কি?
আমি জানি অনেকেই বলবে এটাই ভালো দেশের কন্টেক্সটে। আমি বিশ্বাস করিনা। একজন মানুষ শুধুমাত্র একটা চতুর্থ শ্রেণীর কাজের জন্য ঘুষ দিবে, একটা প্রাইভেট জব ছাড়বে, তারপর জবে ঢুকে ঘুষ নেয়ার মত অপরাধ করবে! যাক হয়তো সিস্টেম কিন্তু আমি ভাবি, এ ছেলের সদুপায়ে অনেক ভালো কিছু করার সামর্থ্য ছিল কিন্তু সমাজ বা নিজের চয়েস, যেকারণেই হউক, এমন কিছু করতে হয়।
আমি জানি, এমন অনেক গল্প আপনারা অনেকেই জানেন। এমন লক্ষ টাকা দিয়ে আমরা একটা সিকিউরড জব নিশ্চিত করি এটাই নাকি সম্মানের! হতে পারে। কিন্তু ব্যাচেলর শেষ করা একটা মানুষ আসলেই কি চাইলে অন্য কিছু করতে পারেনা? হয়তোবা পারে বা পারেনা কিন্তু চেষ্টাটাই না করে শর্টকাট কিছু একটা করাই বা কতটুকু যুক্তিযুক্ত?
যাক, আশা করি আমাদের চিন্তা জাগবে আর ঘুষ দিয়ে সম্মানের চাকুরী নিয়ে ঘুষ খেয়ে সে টাকা উঠানোর চেয়ে, সৎ ভাবে পরিশ্রম করে নিজেকে ভালো জায়গায় নিয়ে যাওটাই যে বেশি সম্মানের সেটাও বুঝবো আমরা।