প্রায় প্রতিদিনই কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের হতাশার মেসেজ পাই। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুলছে না, পরীক্ষা হচ্ছে না, অনেক পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে, হতাশ লাগছে, কি হবে জানিনা ইত্যাদি। এ পরিস্থিতি নিয়ে টেনশন বা হতাশা খুবই স্বভাবিক ও গ্রহণযোগ্য। এখন কথা হচ্ছে যেহেতু দেশে প্যানডেমিক ভালো দিকে যাচ্ছে না বা প্রেডিক্টেবল না যে কতদিন থাকবে বা কবে সব ঠিক হবে, তাহলে টেনশন করে দিন, মাস, সপ্তাহ, বছর নষ্ট করা কি ঠিক হবে?
স্টেফেন কোভের ‘7 Habits of Highly Effective People’ বই থেকে একটা লার্নিং সারা জীবন প্র্যাকটিস করার চেষ্টা করছি। সেটা হল- আমাদের চারপাশে যা ঘটে, যা নিয়ে আমরা এমন টেনশন করি, এ জিনিস গুলা ২ ভাগে তিনি ভাগ করেছেন। একটা হলো সার্কেল অব ইনফ্লুয়েন্স মানে যা ঘটছে সেটা থামানুর বা কমানোতে আপনি ভূমিকা রাখতে পারেন প্রত্যক্ষ ভাবে। উদহারণ হলো-জ্বর হলে মেডিসিন খেতে পারেন আপনার ইচ্ছাতে এবং ভালো হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আর অনেক গুলা জিনিস ঘটে যেগুলাকে বলে সার্কেল অব কন্সার্ন- অর্থাৎ সে ঘটনায় আপনি টেনশিত কিন্তু কিছু করার নেই। যেমন- করোনা পরিস্থিতি চাইলে আমরা ঠিক করে দিতে পারিনা বা প্রতিষ্ঠান খুলে অনার্সটা পাশ করে ফেলতে পারিনা। এমন অবস্থায় এটা নিয়ে টেনশন করে লাইফ নষ্ট করলেও কিন্তু দিন শেষে কিছুই বদলাচ্ছে না। আর এ মুহূর্তে মাথায় যত টেনশন আছে, এগুলাকে ২ ভাগে ফেলে দেখবেন যে বেশির ভাগ হলো ২য় টায় পরে।
এখন আসলেই কি করা যায় বা এ করোনায় করতে পারতাম? সে লিস্ট অনেক লম্বা বা যার যার পছন্দের উপর নির্ভর করে। যেমন- উচ্চ-শিক্ষায় যারা আসতে চায়, তাদের সময় ছিল জিআরই,আইইএলটিএস পুরা ভেজে খেয়া ফেলার বা ইউনিভার্সিটি সার্চ করে ৫০ টার লিস্ট বানানো; যে ইংরেজিতে দূর্বল ছিল তার সুযোগ ছিল বা আছে বন্ধে মাস্টার হয়ে যাওয়ার; যার প্রোগ্রামিং শিখতে ভালো লাগে, সে এট লিস্ট ২ টা ল্যাংগুয়েজ শিখে ফেলতে পারতো; যে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বা এক্সেল পারেনা, সে শিখে নিতে পারে ভালো করে যেহেতু সারা জীবন কাজে লাগবে। এমন অনেক অনেক কাজ, স্কিল, হবি, দূর্বলতা নিয়ে কাজ করা যেত বা যায়। ধরুন দেশে আর ও ৩ মাস কিছু খুলছে না। তো, ৩ মাস ও কি হতাশার পোস্ট দিয়ে যাবেন, নাকি কিছু একটা প্ল্যান করে দেখবেন আসলে হয় কিনা? ট্রাস্ট মি, চেইঞ্জ টা নিজেই দেখতে পাবেন। জাস্ট ডু ইট।