আমেরিকার প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স এবং পিএইচডি শিক্ষার্থীদের গ্র্যাজুয়েট অ্যাসিসট্যান্টশিপের পাশাপাশি গ্র্যাজুয়েট ফেলোশিপ প্রদান করা হয়ে থাকে। ফেলোশিপ পেলে শিক্ষার্থীর একাডেমিক কোর্সের পুরো অথবা অর্ধেক টিউশন ফি কাভার হয়। এছাড়া লিভিং কস্ট এবং মেডিকেল ইন্স্যুরেন্স সুবিধাও দেওয়া হয় যা অ্যাসিসট্যান্টশিপের মতোই। তবে ফেলোশিপগুলোতে অ্যাসিসট্যান্টশিপের মতো রিসার্চ অথবা একাডেমিক কোনো কাজ করার প্রয়োজন পরে না। এগুলো সাধারণত মেরিট বেইসড হয় যা ভালো একাডেমিক প্রোফাইলের ভিত্তিতে দেয়া হয়। এজন্য গ্র্যাজুয়েট ফেলোশিপকে অ্যাসিসট্যান্টশিপের থেকে বেশি প্রেসটিজাস বলা হয়ে থাকে।
মাস্টার্স এবং পিএইচডি প্রোগ্রামগুলোতে সাধারণত দুই এবং চার বছরের জন্য ফেলোশিপগুলো আর্থিক সহায়তা দেয়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় মাস্টার্স প্রোগ্রামে এক বছর এবং পিএইচডি প্রোগ্রামে ২-৩ বছরের আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। সেক্ষেত্রে বাকি একাডেমিক বছরগুলোর জন্য সকল খরচ শিক্ষার্থীকে বহন করতে হবে।
ফেলোশিপ মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে- Internal এবং External ফেলোশিপ। Internal ফেলোশিপগুলো বিশ্ববিদ্যালয় ফান্ড থেকে দেয়া হয়। এই ধরনের ফেলোশিপ তুলনামূলক কম কমপিটেটিভ। Internal ফেলোশিপ পেতে সর্বপ্রথম ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হয়। অপরদিকে External ফেলোশিপ সরকারী ফান্ড, প্রাইভেট এবং নন-প্রফিট অর্গানাইজেশন থেকে দেয়া হয়। এগুলো সাধারণত অনেক কমপিটেটিভ। External ফেলোশিপের ক্ষেত্রে অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাবজেক্ট লিস্ট দেয়া থাকে যেগুলোর বাইরে ভর্তি হওয়া যায় না। ফেলোশিপগুলো পেতে ভালো সিজিপিএ, পাবলিকেশন, জব এক্সপেরিয়েন্স, ভলান্টিয়ারিং ইত্যাদি অনেক কাজে আসে।
উচ্চশিক্ষা নিয়ে এই ধরনের আরও লেখা পাবেন এই ব্লগ লিংকে-
আমেরিকাতে নন-স্টেমের সুযোগগুলো নিয়ে আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে এই ভিডিওগুলো দেখে নিতে পারেন-
MBA নিয়ে বিস্তারিত-
সোস্যাল সাইন্সের ফান্ডিং নিয়ে বিস্তারিত-
সোস্যাল সাইন্স ও আর্টসের শিক্ষার্থীদের জন্য Erasmus Mundus Scholarship নিয়ে বিস্তারিত পাবেন এই ভিডিওতে-
সোস্যাল সাইন্স ও আর্টসের শিক্ষার্থীদের জন্য বুরসলারি স্কলারশিপ নিয়ে বিস্তারিত পাবেন এই ভিডিওতে-
সোসিওলোজিতে মাস্টার্স এবং পিএইচডি নিয়ে বিস্তারিত পাবেন এই ভিডিওতে-