এ লাইনটা একটা মুভি দেখতে গিয়ে শুনেছি। প্লটটা ছিল এমন- একজন শাশুড়ি এবং ছেলের বউয়ের মধ্যে ব্যাপক সমস্যা। শাশুড়ি বউয়ের কিছুই নিতে পারেনা। চাকুরী করার খুব ইচ্ছে বউয়ের, একের পর এক জবে এপ্লাই করে, কোথাও ইন্টারভিউ কল আসেনা। শাশুড়ির ঝামেলা এমন পর্যায়ে যায় যে বউমা সিদ্ধান্ত নেন তাকে সাইক্রিয়াটিস্ট দেখাতে আর তার কাছেই দুজন আলাদা করে খুলে বলেন তাদের জীবনে পাওয়া না পাওয়ার গল্প গুলো।
শাশুড়ির গল্পটা বেশ ইন্টারেস্টিং। ওনার বিয়ে হয়ে যায় অল্প বয়সে, তারপর সন্তান -সন্ততি আর পরিবারের পেছনে সময় দিতে দিতে জীবন শেষের পথে। নিজের ও ইচ্ছে ছিল কিছু একটা করার যেমন স্টেজে পারফর্ম করার খুব শখ ছিল, ওনার ও ইচ্ছে করতো ঘুরে বেড়ানোর, কিন্তু কিছুই হয়ে উঠেনি। তাই, বউমার এসব ওনার ভাল লাগেনা।অকপটে স্বীকার করেন যে বউমার সব জয়েনিং লেটার তিনি সরিয়ে রেখেছেন, কারণ তিনি চাননা বউমা ভাল কিছু করুক। নিজে পাননি, বলে বউমার পাওয়াটা মেনে নিতে পারছিলেন না। নিজের ও এমন অনেক গুলা শখ ছিল যেগুলার কোনটাই সংসার করে আর পূরণ করতে পারেন নি বলে চাচ্ছেন না নিজের পুত্রবধূ এসব করতে পারুক আর স্বাবলম্বী হউক। পরে সব স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নেয় শাশুড়ি।
মুভিটা দেখে মনে হলো আসলেই তো মানুষ নিজে যা পায়না তা অন্য কেউ পাক সেটা অনেক সময় চায়না। এটাকে অনেক সময় আমরা হিংসে বলি আবার অনেক সময় ইনফেরিওরিটি কমপ্লেকজিটি বলি যেখানে মানুষ ভাবে যে ও সে স্পেসিফিক জিনিসটা পেলেই তো আমাকে ছাড়িয়ে গেলো আর আমি ছোট হয়ে গেলাম! নিজের ব্যপারটাই ভেবে দেখলাম যে আমি ব্যক্তিগতভাবে কি চাই? আমি চাই, উল্টাটা। আমি যা পেয়েছি আর পায়নি, তার চেয়ে বেশি কিছু অন্যজক পাক। যে কষ্ট গুলা আমি পেয়েছি, সেটা অন্য কেউ যেন না সইতে হয়। সবাই বড় হয়ে গেলে আমি ছোট হয়ে যাবনা। সবাই ধনী হয়ে গেলে আমার টাকা কমে যাবে না আর দুনিয়ার সব মানুষ ও প্রাণী সুখে থাকলেও আমার সুখের ঘাটতি হবেনা। এ বিশ্বাসই করি আর নিজের না পাওয়া গুলো অন্যের উপর এক বিন্দু ও ঢালতে চাইনা।
নিজের মনটাকে আরও অনেক বড় করার রিমাইন্ডার দিয়ে গেলো মুভিটা।