আমাদের অনেকের শিক্ষিত/ধনী হয়ে যাওয়ার সাথে ধর্মীয় বিধি-বিধান পালন কমে যাওয়ার একটা পজিটিভ সম্পর্ক আছে। ভার্সিটিতে কখনো ফ্রেন্ডদের সাথে আলাপচারিতায় উঠে আসতো যে এখন সে কোন নামাজ পড়েনা কিন্তু একসময় নফল ইবাদাত ও করতো লাইক তাহাজ্জুদ বা নফল রোজা রাখতো! কয়েকজন বন্ধুই আফসোস করে বলতো, শয়তানে পেয়েছে রে, আল্লাহ মাফ করুক! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডিতে পা রাখার পরে অনেকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিজেকে সেক্যুলার এমনকি নাস্তিক দাবী করতে দেখেছি। মুসলিম হয়ে রোজার সময় সবার সামনে ক্লাসে দাঁত কেলিয়ে খাওয়া দাওয়া করা পোলাপাইন দেখেছি যখন অন্য ধর্মের ক্লাশমেটরা রেস্পেক্ট করে সামনে কিছু খেতোনা! তিনারা এখন ধর্ম পালন না করা বা ধর্মকে অবজ্ঞা করার মধ্যে একটা কুলনেস খুঁজে পায়! যে কোনভাবে ধর্মীয় কিছুকে একটু ছোট করে দেখাতে পারলে বা প্যাক্টিসিং কোন ফ্রেন্ডকে টিটকারি দিতে দেরী করেনা। খোজ নিলে দেখা যাবে েদের বেশির ভাগেরই পরিবার অনেক ধার্মিক আর জানেনা শিক্ষিত হতে ভার্সিটিতে পাঠানো পোলায় এখন কতটা কুল! হয়তো জিজ্ঞেস করে ও করে বাবা নামাজ পড়সিলা?
একই ট্রেন্ড দেখেছি যখন কিছু মানুষ টাকা পয়সা ওয়ালা হয়ে যায়। লাইফস্টাইলের সাথে সব উন্নতি হলেও অবনতি হয় ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলায়। টাকার ঠেলায় তখন মুসলিম হয়ে ও কাট্টা হারাম কিছুকে ও মানিয়ে নিতে কুলনেসের কারণে চালিয়ে দেয়! সমাজ রক্ষায় কত কিছুই যে করে সেটা খেয়াল থাকেনা! আমার জিজ্ঞাসা, আসলে শিক্ষা-দীক্ষা বা নিজেরা একটু ভালো থাকলে ধর্মীয় অনুশাসন দূরে ঠেলে দিতে হবে কেন? এগুলা কি সাংঘর্ষিক কিছু নাকি আমরা জাস্ট ধরে নেই এই বুঝি সব পেয়ে গেলাম আর দুনিয়ার কিছু চাওয়া পাওয়ার নেই আল্লাহর কাছে! ঠিক েদের অনেকেই আবার একটা বয়সের পরে হয়তো আবার ধর্মে ফিরে আসে যখন মেরুদণ্ড বাঁকা হয়ে কবরে যাওয়ার সময় হয়!
যাক, আল্লাহর কাছে সবসময় চাই যেন দুনিয়ায় যত যা কিছুই হই এমন কুলনেস না আসে যেখানে নিজের ধর্মকে ভুলে যাবো! একটা দোয়াই আছে এটা নিয়ে যেটা মুনাজাতে বলি। আমরা প্র্যাক্টিসিং/নন-প্র্যাক্টিসিং সবাই কিন্তু একজন মানুষ মরে যাওয়ার পরে চাই সে পরকাল/অন্য জগতে ভালো থাকুক কিন্তু কেন জানি এ ইয়াং সময়টায় নিজেরা ধর্ম পালনে খুব অবহেলা করি আর বলি আরেহ, বয়স আর কতো! একটু পরেই না হয় শুরু করি! এ পরের সময়টায় আসলেই বাঁচবো এ গ্যারান্টি কোত্থেকে পায় মানুষ! আমার জানা নেই। দুনিয়ায় সব কিছুতেই সেরা হয়ে পরে গিয়ে ধরা খেলে েসবের দুই পয়সা দাম থাকবেনা সে বিশ্বাস করি আর সেখানেই চূড়ান্ত সফলতা চাই। আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুক।