ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট দের জন্য বিভিন্ন দেশে কিছু রুলস সেট করা থাকে। এগুলা ইউনিফর্ম না তার মানে আমেরিকাতে এক রকম হলে ইংল্যান্ড এ আরেক রকম। আজকে আমেরিকায় বিদেশি স্টুডেন্ট হিসেবে আমাদের কি রুলস মেনে চলতে হয় সেগুলোর কিছু নিয়ে লিখবো-
1. প্রতি সেমেস্টারে মিনিমাম ৬/৯ ক্রেডিট নিতে হয় স্ট্যাটাস টিকিয়ে রাখার জন্য। এর কম এন্রোল করতে দেয়না।যারা ভাবেন এসে এক্টা কোর্স নিয়ে কাজ করবেন, পসিবল না
2. ১ টার বেশি কোর্স অনলাইনে নেয়ার সুযোগ নেই। করোনায় এলাউড ছিল সিচুয়েশনের জন্য। তার মানে যেখানে ভার্সিটি সেখানেই থাকতে হবে আর গিয়ে ক্লাশ করতে হবে
3. ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট হিসেবে আমাদের ভিসার মেয়াদ I20 এর মেয়াদের উপর ডিপেন্ড করে। তার মানে ভিসার মেয়াদ ৫ বছর হলেও থাকা ভ্যালিড যতদিন প্রোগ্রামের মেয়াদ থাকে
4. কোন সেমেস্টারে কোর্সে এনরোল না করে থাকা পসিবল না। F1 স্ট্যাটাস টিকিয়ে রাখার জন্য সেমেস্টার কন্টিনিউ করা বাধ্যতামূলক
5. বেশির ভাগ ভার্সিটিতে ইউনিভারসিটি থেকে দেয়া হেলথ ইন্সুরেন্স নিতে হয় এবার সেটা যত দামীই হউক এবং হেলথ ইন্সুরেন্স থাকা ও বাধ্যতামূলক ধরা হয়
6. ক্যাম্পাসের বাইরে লিগ্যালি কাজ করার জন্য এলাউড না।
7. ক্যাম্পাসে সপ্তাহে ২০ ঘন্টা বৈধভাবে কাজ করা যায় এবং এর বেশি করতে দিবেনা
8. যদি দেশে যেতে চান, তাহলে I20 তে ইন্টারন্যাশনাল অফিসের সাইন লাগে এবং জানিয়ে যেতে হয়
9. গ্রীন কার্ডের জন্য অন্য দেশের মত জাস্ট ২ বছর থাকলে অটোমেটিক কন্সিডার করেনা বরং নিজেকে প্রসেস করতে হয়
এ রুলস গুলো মোটামুটি আমেরিকাতে কমন। আমার মনে হয় কানাডা/ইউরোপের দেশ গুলোর তুলনায় কড়াকড়ি বেশিই। রুলস গুলো জানা থাকলে এখানে আসার আগেই মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে আসা যায় আর ঝামেলা এড়ানো যায়।