রান্নায় বা কিচেন ওয়ার্কে আমি দারুণ আনাড়ী। তরকারী কেটে কুটে দেয়া, হাড়ি-পাতিল ধোয়া আর পরিস্কারের বাইরে রান্না রিলেটেড সর্বোচ্চ কাজ হলো মুনার তরকারির লবন দেখে দেয়া। তাও মাঝে মাঝে ভুল করি আর বেশি কম বলি! একদিন আমাকে বললো, পোলাও গুলা শেষের দিকে, জাস্ট একবার নেড়ে চুলা অফ করে দিতে। আমি বললাম ওকে, এ আর তেমন কি! ওরে ভাই, নাড়তে গিয়ে দেখি এটা ও কঠিন আছে আর আশে পাশে ফেলে ভরায়া ফেলসি
আরেকদিন আলুভাজি নাড়তে বললো আর এসে দেখে প্রায় ভর্তা করে ফেলসি এমন ঘুটুনি দিসি!
যাক, এরপরে এক্সপেরিমেন্ট করার জন্য মাঝে মাঝে এটা সেটা ট্রাই করতাম, কখনো তেহারী আবার কখনো একটা আইটেম।ভালো মন্দ মিলিয়ে হতো তাও আবার মুনা সামনেই থাকতো আর ব্যাপক হেল্প নিতাম।
এবার একাই খুব সাহস করে ৩ টা আইটেম ট্রাই করেছি আর মুনা কিচেনে ছিলনা। খাওয়ার সময় দুরু দুরু বুকে তাহার পানে তাকিয়ে আছি ফেসিয়াল এক্সপ্রেসন বুঝার জন্য, একেকটা খেলো আর মনে হলো নাহ, মনে হয় তত খারাপ হয়নি! অবশেষে, বললো সব কিছুই নাকি খুব ভাল হয়েছে! আহ! এত ৩ ঘন্টা কষ্টের রেজাল্ট এ প্লাস! মাঝে মাঝে নাকি অন্যের হাতে রান্না খেতে মন চায় ওর। ডেলিভারির পরে মাশাল্লা অনেকেই রান্না করা ফুড নিয়ে এসেছেন আমাদের জন্য, সেগুলা দিয়ে চলছে আর সাথে আমার এ এক্সপেরিমেন্ট। কৃতজ্ঞতা যারা এ বিদেশ বিভুইয়ে কষ্ট করে রান্না করে দিচ্ছেন আমাদের জন্য। দেশের ফিল পাই তেমন কিছুতে। এ্যানিওয়ে, রান্না বান্নায় আরেকটু ভাল করার চেষ্টায় আছি কিন্তু গতকাল আরো ৩ টা আইটেমে লবন কম দিসি